সোমবার, ২০ মে ২০২৪ ০৮:২৫ এএম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নৃত্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী মেঘলা চৌধুরী ইলমাকে হত্যার অভিযোগে বনানী থানায় দায়ের করা মামলায় স্বামী ইফতেখার আবেদীনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) তৃতীয় দফায় দুই দিনের রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্তকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলাম তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ১৪ ডিসেম্বর বিকাল ৪টার দিকে রাজধানীর বনানীতে স্বামীর বাসা থেকে মেঘলাকে প্রথমে গুলশান ইউনাইটেড হসপিটালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ ঢাকা মেডিক্যালে পাঠানো হয়। মেঘলার পরিবার এটিকে হত্যা বলে দাবি করেছেন। অন্যদিকে মেঘলার স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজন বলছেন আত্মহত্যা।
পরে এ ঘটনায় অভিযুক্ত ইফতেখারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরদিন ১৫ ডিসেম্বর তাকে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমামের আদালতে তোলা হলে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়। পরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাতুল রাকিবের আদালতে দুই দফায় ১৯ ডিসেম্বর দুই দিন এবং ২২ ডিসেম্বর আরও দুই দিনে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সবমিলিয়ে তিন দফায় সাত দিনের রিমান্ড শেষে আজ আদালত ইফতেখারকে কারাগারে পাঠালেন।
মেঘলা চৌধুরী ইলমা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃত্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী। তার স্বামী ইফতেখার আবেদিন কানাডা প্রবাসী। আরিফুল ইসলাম নামে মেঘলার এক সহপাঠীর ভাষ্য, বিয়ের পর থেকেই তাকে (মেঘলা) অনেক বাধ্যবাধকতার মধ্যে রাখা হতো। তার কোনও মোবাইল ছিল না। সে পুরো আউট অফ নেটওয়ার্ক ছিল। ক্যাম্পাসে শুধু পরীক্ষা দিতে আসতো। বিয়ের আগে আমাদের সঙ্গে অনেক আড্ডা দিতো। কিন্তু বিয়ের পর তাকে পাওয়া যেতো না। মোটকথা তাকে অনেক মানসিক নির্যাতনের মধ্যে রাখা হতো।
স্বামীর নির্যাতনে মেঘলার মৃত্যু হয়েছে দাবি করে তিনি আরও বলেন, গত ১১ ডিসেম্বর তার স্বামী ইফতেখার দেশে আসেন। তারপর তাকে এমনভাবে নির্যাতন করা হয় যে সে আজ মারা যায়। তার শরীরে যে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পাচ্ছি তা মোটেও আত্মহত্যার নয়। তাকে হত্যা করা হয়েছে। মেঘলাকে কয়েকদিন ধরে নির্যাতন করা হচ্ছে এবং আজ তাকে খুন করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে—মেঘলার মাও আমাদের এমনটি জানিয়েছে।
এ বিষয়ে বনানী থানার ওসি নূরে আজম মিয়া বলেন, ধারণা করছি পারিবারিক কলহের জেরে হত্যা করা হতে পারে। ময়নাতদন্তের পরেই জানা যাবে জানা যাবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, বিষয়টি আমরা শুনেছি। আইনি প্রক্রিয়া থেকে অন্যান্য কার্যাবলি সম্পন্নে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ওই ছাত্রীর পরিবারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।
<!--[if gte mso 9]><xml>
আশির দশক থেকে প্রাণঘাতী এইচআইভিকে সঙ্গী করে বসবাস করে আসা এক রোগীর শরীর থেকে এই ভাইরাস নির্মূল হয়ে... বিস্তারিত
মহাকাশে নাসার পাঠানো জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ এবার ভিনগ্রহে পানির সন্ধান পেয়েছে। শুক্রবার এক বিবৃতিত... বিস্তারিত
কাস্পিয়ান সাগর থেকে বেশ কিছুটা ওপরে বাতাসে সাদা কিছু একটাকে ভাসতে দেখা গেছে। এমনই অদ্ভুত একটি বিষ... বিস্তারিত
প্রস্তাবিত বাজেট পাস হলে তরুণ ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে তামাকপণ্যের ব্যবহার বাড়বে, সরকারের স্বাস... বিস্তারিত
সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় আরও চার দিন বেড়েছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী ২২ ম... বিস্তারিত
পৃথিবীতে অনেক সৌভাগ্যবান মানুষ আছেন, যাঁদের কোনো দিন কোনো অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয়নি। কিন্তু এ অ... বিস্তারিত
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তপসিল ঘোষণার পর থেকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য আলাদা কার্য... বিস্তারিত
এক বছর আগে ঘোষিত দরের চেয়ে ১-২ টাকা বেশি দামে রেমিট্যান্সের ডলার কেনায় ছয়টি ব্যাংকের বিরুদ্ধে শাস্... বিস্তারিত
সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় (সোমবার সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ৮ জন... বিস্তারিত
চোখের ইশারায় খুলে যাবে অ্যাপ, আঙুলে ছুঁয়ে সরাতে হবে স্ক্রিন। মাথা নাড়ালেই হবে অনেক কাজ। প্রযু... বিস্তারিত